Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জুন ২০২৩

বোর্ডের কার্যক্রম

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের পরিচিতি এবং গৃহীত বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রমসমূহঃ

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা বিধানসহ তৃণমূল পর্যায়ে অধিকতর কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে সাবেক সরকারি কর্মচারী কল্যাণ অধিদপ্তর ও সাবেক বোর্ড অব ট্রাষ্টিজ (কল্যাণ তহবিল ও যৌথবীমা তহবিল) - কে একীভূত করে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড নামে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড নামে একটি বোর্ড আইন, ২০০৪ তারিখ ২৯-০১-২০০৪ মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে রেজিষ্ট্রার্ড ডি-এ-১ অতিরিক্ত সংখ্যায় বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। এ আইনের বলে সাবেক সরকারি কর্মচারী কল্যাণ অধিদপ্তর ও সাবেক বোর্ড অব ট্রাষ্টিজ (কল্যাণ তহবিল ও যৌথবীমা তহবিল) একীভূত হয়ে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড নামে ঢাকা মহানগরসহ দেশের ৮ টি বিভাগে কার্যক্রম শুরু করেছে।

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে ৩ টি তহবিল রয়েছে। তহবিল ৩ টির কার্যক্রম পৃথকভাবে বর্ণনা করা হলোঃ

(ক)    বোর্ড তহবিল:

(০১)   ষ্টাফবাস সুবিধা: সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সময়মত অফিসে যাতায়াতের জন্য ঢাকা মহানগরী ও বিভাগীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর  ও জেলা পর্যায়ে রাঙামাটিতে স্টাফবাস কর্মসূচী পরিচালনা করা হচ্ছে। স্টাফবাসে যাতায়াতের জন্য বড়বাসে প্রতি কিলোমিটারে ০.৬২৫ টাকা ও মিনিবাসে ১.২৫ টাকা হারে ভাড়া আদায় করা হয়। এ কর্মসূচীর অধীনে বর্তমানে ৯১ টি বাসের মধ্যে ৪৭ টি সরকারের এবং ৪৪ টি বিআরটিসি হতে ভাড়াকৃত বাস রয়েছে। উক্ত বাসগুলি দ্বারা প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারিকে স্বল্প ভাড়ায় সময়মত অফিসে আনা নেয়া করা হচ্ছে।

(০২)   দেশে ও বিদেশে জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদান: কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারির নিজের দেশে/বিদেশে জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসায় চাকরি জীবনে এক বা একাধিকবারে সর্বোচ্চ ২ (দুই) লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। হার্ট ষ্ট্রোক, ব্রেইন ষ্ট্রোক, বাইপাস সার্জারী, হার্টে রিং পড়ানো, ক্যান্সার, কিডনী ডায়ালাইসিস, কিডনী ট্রান্সফার, মারাত্মক দূর্ঘটনাজনিত কারনে অঙ্গহানি ইত্যাদি রোগ এ সাহায্যের আওতায় পড়ে। এ সেবাটি বোর্ডের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালনা করা হয়। উল্লেখ্য যে,  পরিবারের সদস্য যেমন ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী এবং নির্ভরশীলদের জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের ক্যাটাগরীতে কোন আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয় না।

(০৩)  মহিলাদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ: ১৯৬৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মতিঝিল সরকারি আবাসিক এলাকায় সর্বপ্রথম মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাম কমিউনিটি সেন্টারটি চালু করা হয়। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্ত্রী ও কন্যাদেরকে আত্মনির্ভরশীল ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালে মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। উক্ত কেন্দ্রগুলিতে কম্পিউটার ব্যাসিক, গ্রাফিকস ডিজাইন, সেক্রেটারিয়েল সাইন্স, সেলাই, ব্লক, এমব্রয়ডারী, কনফেকশনারি, ফ্যাশন ডিজাইন, বিউটিফিকেশন ও ক্যাটারিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

প্রধান কার্যালয়ের অধীনে মতিঝিল মহিলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একটি বৃহদকার কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। উক্ত কমিউনিটি সেন্টারটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্ধারিত হারে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া প্রদান করা হয়। এছাড়া অন্যান্য বিভাগীয় কার্যালয়সমূহেও কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। মতিঝিল মহিলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কমিউনিটি সেন্টারটির সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিম্নরূপ:

এক বেলার ভাড়া:  টা: ১,৬০০০/-(সরকারি পর্যায়ে)    এবং    টা: ২১,০০০/- (বেসরকারি পর্যায়ে)

(০৪) শিক্ষা বৃত্তি/সহায়তা: প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ গ্রেডের কর্মরত সরকারি কর্মচারিদের সন্তানদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান থেকে বছরে একবার নির্দিষ্ট হারে অনধিক দু’সন্তানকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে (মাষ্টার্স/ইঞ্জিনিয়ারিং/মেডিকেলে) অধ্যয়নের জন্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্য অনলাইনে দরখাস্ত আহবান করে বোর্ডের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

ভাল ফলাফল অর্জনকারীদেরকে উৎসাহিত করার জন্য দু’টি ক্যাটাগরিতে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে সকল ছাত্রছাত্রী প্রত্যেক বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়ে গড়ে ৮০% ও এর অধিক নম্বর পেয়েছে তাদেরকে বর্ধিত হারে শিক্ষাবৃত্তি এবং প্রত্যেক বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়ে গড়ে ৫০% হতে ৭৯% নম্বর পেয়েছে তাদেরকে শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

(০৫)   দাফন/অন্ত্যে্ষ্টিক্রিয়া অনুদান: প্রজাতন্ত্রের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ৭৫ বছর বয়সের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে টাঃ৩০,০০০/- এবং পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে টা: ১০,০০০/- দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুদান বাবদ প্রদান করা হয়।

(০৬)  ক্লাব/কমিউনিটি সেন্টার: সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিনোদন ও তাঁদের সন্তানদের খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আবাসিক এলাকায় নতুন ক্লাব/কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন এবং সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দ্বারা পরিচালিত ক্লাব/কমিউনিটি সেন্টারের সংস্কার/মেরামতের জন্য প্রতি বছর আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

(০৭)   বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা: সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি ও তাদেঁর সন্তানদের খেলাধুলার উন্নয়ন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বোর্ডের প্রধান কার্যালয় শুধু ঢাকা মহানগরী ও বিভাগীয় পর্যায়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুরে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাঁদের সন্তানদের জন্য প্রতি বছর ডিসেম্বর হতে পরের বছরের ফেব্রুয়ারি এর মধ্যে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

(খ)    কল্যাণ তহবিল:

০১।    মাসিক কল্যাণ ভাতা: সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার অক্ষম/মৃত কর্মকর্তা, কর্মচারির নিজ বা পরিবারকে অনধিক ১৫ (পনের) বছর বা কর্মকর্তা কর্মচারীর অবসর গ্রহণের পর ১০ বছর যা আগে আসে পর্যন্ত সর্বোচ্চ টাঃ২,০০০/- (দুই হাজার) হারে ধারাবাহিকভাবে মাসিক কল্যাণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ অনুদানের টাকা আবেদনকারীগণ দেশের সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে উত্তোলন করতে পারে।  

০২।    চিকিৎসা অনুদান: সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় কর্মরত, অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত, মৃত কর্মকর্তা কর্মচারির নিজ ও পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রতি বছরে একবার চিকিৎসা সাহায্য হিসেবে ৪ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ সর্বোচ্চ টাঃ ৪০,০০০/- প্রদানের বিধান আছে। কর্মকর্তা কর্মচারী নিজে আমৃত্যু এবং পরিবারের সদস্যগণ কর্মকর্তা কর্মচারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত এ অনুদান প্রাপ্য হবেন।

০৩।   শিক্ষাবৃত্তি: সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার মৃত, অক্ষম ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারির সন্তানদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য বোর্ডের কল্যাণ তহবিল থেকে অনধিক দু’সন্তানকে নবম শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে (মাষ্টার্স/ইঞ্জিনিয়ারিং/মেডিকেলে) অধ্যয়নের জন্য বছরে একবার নির্দিষ্ট হারে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে, শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্য বহুল প্রচলিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বৃত্তির হার নিম্নরূপ:

(১)   ৯ম ও ১০ম শ্রেণি বা সমমানের শ্রেণির জন্য বছরে টা: ২,৪০০/-।

(২)   একাদশ ও দ্বাদশ বা সমমানের শ্রেণির জন্য বছরে টা: ৩,৬০০/-।

(৩)   স্মাতক বা সমমানের ডিগ্রী/কোর্সের জন্য বছরে টা: ৪,৮০০/-।

(৪)   স্মাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রী/কোর্স এবং বিএসসি ইঞ্জিঃ ও এমবিবিএস কোর্সের জন্য বছরে টা: ৬,০০০/-।  

০৪।    দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদান: সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার মৃত, অক্ষম ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারির (বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) পরিবারের নির্ভরশীল কোন সদস্যের মৃত্যুর ক্ষেত্রে টা: ১০,০০০/-  দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুদান বাবদ প্রদান করা হয়।

(গ)    যৌথবীমার এককালীন অনুদান:

সরকারি ও তালিকাভুক্ত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় চাকরিরত অবস্থায় কোন কর্মকর্তা কর্মচারির মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে উক্ত কর্মচারির সর্বশেষ ২৪ (চবিবশ) মাসের মূলবেতনের সমপরিমাণ অর্থ সবোর্চ্চ ২ (দুই) লাখ টাকা যৌথবীমার এককালীন অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়।


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon